প্রায় দেড় দশক ধরে ফুটবল বিশ্ব শাসন করেছেন দুজন। বিশ্বসেরা ফুটবলারের তর্কে অন্য কাউকে ঢোকার সুযোগ দেননি লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বছরের পর বছর রেকর্ড ভেঙেচুড়ে অবিশ্বাস্য কীর্তিকেও সাধারণ বানিয়ে ফেলেছেন দুজন। দুজন দ্বৈরথ নিয়ে দুই সমর্থকগোষ্ঠীর লড়াইটাও দিন দিন নোংরা রূপ নিয়েছে। দুজনে ক্যারিয়ারের প্রায় সায়াহ্নে চলে এসেছেন।
রোনালদো অবশেষে তাঁর ভক্তদের কাছে আহবান করেছেন, এই লড়াইটা থামাতে। নিজের সমর্থকদের বলছেন মেসিকে ঘৃণা না করতে। ইউরোপ শাসন করে মেসি-রোনালদো এখন দুই মহাদেশে। বিশ্বকাপের পর পরই সৌদি আরবে চলে গেছেন রোনালদো। তাঁর দেখানো পথে সৌদি প্রো লিগ এখন তারকাদ্যুতিতে ইউরোপের শীর্ষ অনেক লিগকেই হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
ওদিকে মেসি নতুন মৌসুমে যোগ দিয়েছেন এমএলএসের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। মেসির আবির্ভাব লিগের ইতিহাসই বদলে দিচ্ছে। পর্তুগালের হয়ে ইউরো বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে দেশে ফিরেছেন রোনালদো। সুযোগ পেয়ে রোনালদোর কাছে তাঁর ক্লাব আল নাসর, সৌদি প্রো লিগের উত্থান নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন সাংবাদিকরা। আর অবশ্যই মেসির সঙ্গে তাঁর দৈরথ নিয়ে কথা হয়েছে।
এদিকে রোনালদোর ধারণা, দুজনের পাল্লা দেওয়ার দিন শেষ হয়ে গেছে, ‘ঘৃণা? আমার কাছে জিনিসটা এমন না। দ্বৈরথের দিন শেষ। এটা ভালো ছিল, দর্শক পছন্দ করত। কিন্তু যারা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে পছন্দ করে তাদের মেসিকে ঘৃণা করতেই হবে বা মেসি ভক্তদের রোনালদোকে- ব্যাপারটা এমন না।’
রোনালদোর ধারণা, তুলনা না করেও দুজনের অর্জনের কথা বলা সম্ভব, ‘আমরা ভালোই করেছি, আমরা ফুটবল ইতিহাস বদলে দিয়েছি। বিশ্বজুড়ে আমাদের সম্মান করে, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইউরোপের বাইরে খেললেও, ও ওর পথে হেঁটেছে, আমি আমার পথে। যতটুকু দেখেছি, সে ওখানে ভালো করছে, আমিও ভালো করছি।’
এদিকে মেসির সঙ্গে দ্বৈরথ উপভোগ করেছেন রোনালদো, কঠিন প্রতিপক্ষ ছিলেন বলেই মেসিকে সম্মান করেন রোনালদো, ‘যে ছাপ রেখেছি আমরা তা রয়ে যাবে, কিন্তু আমি এ দ্বৈরথকে ওভাবে দেখি না। ১৫ বছর আমরা মঞ্চ ভাগাভাগি করেছি। আমি বলছি না আমরা বন্ধু, কখনো এক সঙ্গে ডিনার করিনি আমি, কিন্তু আমরা পেশাদার সহকর্মী এবং দুজন দুজনকে শ্রদ্ধা করি।’